বান্ধবী থেকে বউ
আমাদের চেনাজানার শুরুটা স্কুল লাইফ থেকে। আমরা দুইজন অনেক ভালো বন্ধু ছিলাম। তবে মিরার অনেক বেশি রাগ ছিলো। ও মিরা হচ্ছে রাগি বান্ধুবীরূপি বউ।
মিরা এমনিতে খুব শান্তশিষ্ট মানুষ। কিন্তু স্কুল লাইফ থেকেই সে একমাত্র আমার উপর বেশি রাগ হয়। আমার সব কিছু ওর পছন্দ হতে হবে। এমনকি আমার ডেইলি রুটিনটাও তার করে দিতে হবে।
এভাবেই স্কুল থেকে কলেজে। কলেজেও ওঠার পর আরও বেড়ে গেলো মিরার অত্যাচার। কিন্তু কোন অদৃশ্য কারণে যেন আমি মিরার উপর রাগ করতে পারিনা।
হঠাৎ একদিন দেখলাম মিরা অন্য একটা ছেলের সাথে খুব হাসাহাসি করতেছে। দেখেই কেন জানি প্রচন্ড রাগ হলো। রাতে মিরা ফোন দিলো রাগ হয়ে কথাও বললাম না। সেদিনই ভাবলাম কাল মিরাকে আমার ভাবনাগুলো বলবো। যেই ভাবনাগুলো শুধু তাকে ঘিরেই। এই ভাবনাগুলো হয়ত খুব ছোট, তবে ছোট ছোট ভাবনার সমষ্টি এখন বৃহৎ।
পরের দিন কলেজে গিয়ে মিরাকে ডেকে বলবো। কিন্তু কেন জানি মিরার চোখের দিকে তাকিয়ে এসব কথা বলতে ভয় করছিল। তাই কিছু না বলেই চলে আসলাম। সেদিন রাতেও আর মিরার সাথে কথা বলতে সাহস হলো না।
কিছুদিন পর বিকেলে মাঠে খেলতেছিলাম। এমন সময় মিরার আগমন। কিছু না বলেই হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো। তবে এটা নতুন না। মিরা মাঝেমধ্যেই এভাবে নিয়ে ওর রাগ ঝারে আমার উপর। তো সেদিন ছিলো উল্টো। আমার দিকে অনেকক্ষণ খুব শান্ত হয়ে তাকিয়ে রইলো। তারপর আমার কলার চেপে ধরে বললো তুই কি ভাবোস আমি বুঝিনা। আমি শুনে অবাক। আমতাআমতা করে বললাম কি হইছে বল তো। পরে বলল আরেকদিন কি বলতে চাইছিলি। এসব শুনে আমিও ওর হাত ধরে বলে ফেললাম আমার মনের কথাগুলা।
এভাবেই কয়েক বছর চলে গেলো। রাগী পাগলিটা আগের থেকে অনেক কম রাগ করে। তবে আমার থেকে তার দরকার অনেক সময়। আমি একটা জব পাই। কথাটা শুনে আমার থেকেও বেশি খুশি হয় মিরা। আমাদের বিষয়টা পরিবারকে জানানোর পর পারিবারিক ভাবেই আমাদের বিয়ে হয়।
বাসররাতে যেন এক ভিন্ন মিরাকে আবিষ্কার করলাম। পরীর মত দেখাচ্ছে আজ। নেই সেই আগের মত রাগি ভাব। কেমন যেন মায়াবতী লাগছে। খুব বেশি মায়াবতী!
চলবে----
(কাল্পনিক)...
Post a Comment