গল্প ঃ পরীর সাথে প্রেম(ব্লাক ম্যাজিক)

 গল্প ঃ পরীর সাথে প্রেম(ব্লাক ম্যাজিক)

.

.

.

অনেক দিন পর সেইদিন আসতে চলেছে। আর মাত্র ৩ দিন বাকি আমাবস্যার, আমার সেই কাংখিত দিন আসতে চলেছে। অনেক বেছে একটা সধনা সিলেক্ট করেছি। আকাশ পরী,লাল পরী,রানী পরী,জল পরী, জালালী পরী,ইত্যাদি থেকে একটা সাধনা " আকাশ পরী " সিলেক্ট করেছি। এখন আমার হাতে অনেক কাজ 

 গুরুর সাথে দেখা করতে হবে। 

আমি এখন চট্রগ্রাম এ আছি,,,,,,,,

.

আমি ঃ ( এই মাত্র গুরুর কাছে আসলাম) 

.

গুরু ঃ (আমাকে কিছু বলার সুজোগ না দিয়ে) জিবনে অনেক জন আমার কাছে এজাজত নিয়েছে।তুই যে জন্য এসেছিস,কিন্তু তোর মতো কাউকে দেখিনি। আমি তোর অপেক্ষাতেই ছিলাম। তোর সাধনা সিদ্ধি হওয়ার পর সাধারনের থেকেও তুই একটা ক্ষমতা বেশি পাবি, সেটা তুই পরে  বুঝতে পারবি। আর তুই জা ভাবছিস সেটাই সত্যি,,,,, সাধনায় কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু পরী তোর সামনে আসা মাত্রই তোর মৃত্যু ঝুকি ৮০% এ চলে আসবে।যদি বেচে ফিরিস অশিম ক্ষমতা নিয়ে ফিরবি। এটাই তোর ভবিষ্যত বানি।

.

আমি ঃ আমাকে ইজাজত দিন।

.

গুরু ঃ ইজাজত দিলাম। জা এখন বাকি কাজ গুলো শেষ কর প্রস্তুতি নে " আকাশ পরী" সাধনার জন্য। 

.

আমি সোজা বাজারে চলে গেলাম অনেক খুজে পেয়েছি সেই দোকান।সাধনার জন্য প্রয়োজনিয় সব কিছু কিনে নিলাম।

.

আজকে সেই দিন মানে( আমাবস্যা) গোসল করে অনেক দামি আতর লাগিয়ে ১১:৩০ শ্বসান এ পৌছলাম তারপর ১২ টায়,,,, একটা ফাকা জায়গায় গিয়ে দেহ বন্ধন মন্ত্র দারা দেহ বন্ধ করে,,,, একটা লোহা দিয়ে বৃত্ত আকলাম।আমি সেই বৃত্তের ভিতরে। এর পর শুরু করলাম মন্ত্রপাঠ _______________________

.

.

।।বা হিসার হানাসাদ হিসার জিন দেবী পরী জীর, বাহ এক কহী দুসরে আগন পাসারী,গর্ভ দিগার  যান মিলাহিকে আসবার ধনাদ।।

.

.

কিছুক্ষণ পর চারপাশ টা কেমন নিস্তব্ধ থেকে ভয়ংকর হয়ে উঠল। তবে আমি তো ভয় পাইনা তাই সাধনা চালিয়ে  যাচ্ছি। আমি আমার মতো মনস্থির রেখে মন্ত্র পাঠ করে  যাচ্ছি , কিন্তু সমস্যা হলো তখন, যখন কে জেনো আমার কাছে আমার রক্ত চাইছে। আমি তো এম্নিতেই রক্ত ভয় পাই, কিন্তু আমাকে যে পারতেই হবে। নিজের শরির থেকে রক্ত বের করে দিলাম।তারপর সে চলে গেলো। ছেহারা খুবি ভয়ংকর ছিলো। অনেক ভুত- প্রেত ও দানব, অসুভশক্তি আমাকে সাধনা বন্ধ কর‍তে বলছে।সাধনা বন্ধ না করলে আমাকে নাকি শেষ করে ফেলবে & আমার পরিবারের সবাইকেও।কিন্তু আমি আমার গুরুর কথা স্বরন করে সাধনা চালিয়ে  যাচ্ছি। তার কিছুক্ষন পর চারিদিক কেমন জেনো আলোকিত হয়ে গেলো,আকাশ আস্থে আস্থে আলোকিত হয়ে উঠছে। আর সব ভুত -প্রেত কোথায় জেনো গায়ের হয়ে গেলো। হঠাৎ সামনে তাকিয়ে দেখি আমার সামনে বিশাল ডানাওয়ালা  এক অপরুপ সুন্দর মেয়ে দারিয়ে আছে। ওর দু'টি ডানা আছে।আমি জেনো কেমন হয়ে গেলাম। কখনও কোন মেয়ের দিকে খারাপ নজরে তাকাইনি, আর ওর থেকে তো আমি চোখ সরাতেই পারছি না।ঐ চোখে আর ঐ মায়াবী চেহারায় কেমন জেন একটা আকর্শন কাজ করছে।   জিবনে কত সুন্দরী মেয়ে দেখেছি। কিন্তূ এর মত সুন্দর কাউকেই দেখিনাই। এতো সুন্দর শুধুই তাকিয়ে থাকতে মন চায়।এতো রুপ আমি আমি আমার জিবনেও দেখি নাই।অকে তো আমি আমার বউ ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই পারছিনা। একটা মেয়ের এত রুপ  যৌবন থাকতে পারে তা আমার কল্পনারও অতীত। এমনি রুপ তার জল জল করছে চেহারা। কেমন জেন নেশা নেশা একটা ভাব আকরে ধরছে আমাকে।কেন জেনো মনে হচ্ছে আমি  ঙ্গান হারিয়ে ফেলব।দুচোখে ঘুম আসছে প্রচুর।  কেমন জেনো হারিয়ে  যাচ্ছি পরির প্রেমে। 

.

[💡 গুরু ঃ পরির রুপ দেখে পাগল হসনা। তোর জীবন এখনি শেষ হয়ে যাবে।]

.

আমার কেমন জেনো হুশ ফিরলো।( খুব ভয় পেয়ে গেলাম।)

.

পরি ঃ হজরত তুমি আমাকে কেন ডেকেছো❓

.

আমি ঃ আমি তোমাকে মানুষের কল্যানের জন্য ডেকেছি।

.

পরি ঃ তাহলে তুমি আমাকে বিয়ে করে নাও।

.

আমি ঃ কিন্তু আমি এখন বিয়ে করতে চাচ্ছি না ( কথাটা খুব কস্টে বললাম।) তুমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড & প্রেমিকা হয়ে থাকতে পারো।

.

পরি ঃ আমার কিছু শর্ত আছে 

.

আমি ঃ কি শর্ত❓

.

পরি ঃ আমাকে প্রতিদিন একবার করে চাঁদ দেখাতে হবে।

.

আমি ঃ   (চাঁদ তো প্রতিদিন ওঠে না।) আমি তোমাকে ইজাজত দিতে পারলাম না। প্রতিদিন চাঁদ দেখানো আমার পক্ষে সম্ভব না।

.

( পরি এমন শর্ত দিয়েছিল আমাকে বিপদে ফেলার জন্য) 

.

.

.

পরির সাথে কথা চলছে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ( এগুলো প্রাইভেট কথা তাই আপনাদের না জানলেও চলবে।) 


.

.

.

পরির সাথে কথা বলে আমি কেমন জেন ক্লান্ত। পরির কথার উত্তর দিতে দিতে।

.

অতপর পরি হার মানলো।এবার আমি পরিকে কিছু শর্ত দিলাম।

.

১..তোমাকে স্বরন করা মাত্রই হাজির হতে হবে।

২..তোমাকে  যা আদেশ করবো বিনাবাক্যে তা পালন করতে হবে।

৩..আমার মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পরজন্ত আমার সাথে থাকতে হবে। 

.

এরপর আমি সাথে করে নিয়ে লাল গোলাপের মালা থেকে একটি গোলাপ ফুলের ❀ মালা পরির গলায় পরিয়ে দিলাম। 

.

পরি তাতে সম্যতি দিলো & অপর মালাটি আমার গলায় পরিয়ে দিলো। 

.

এরপর আমার মাঝে কি জেনো হলো। নিজেকে অন্যরকম অনুভব হলো। আমি আমার গুরুর কাছে গেলাম। 

.

গুরু ঃ তোর মাঝে এখন অশিম শক্তি এসেছে। তুই জা চাবি তাই করতে পারবি।তোর সকল সমস্যা পরি সমাধান করে দিবে। তোকে একটা কাজ করে দিতে হবে। জেই কাজটা একমাত্র তুইই কর‍তে পারবি।কারন তোর উপস্থিত বুদ্ধি বেশি। আর তোর ক্ষমতা এখন অনেক বেশি। 

.

আমি ঃআপনি আমার গুরু। আমি আপনার জন্য সব কিছু করতে পারবো। আপনি শুধু আদেশ করুন।

.

গুরু ঃ তোকে আসামে জেতে হবে। সেখান থেকে একটা বই আনতে হবে। জেটা ১০০০০ বছরের পুরনো। এই নকশা তোকে সেই বইয়ের কাছে নিয়ে যাবে।

.

 আমি ঃকিন্তু আমি অই বইকে চিনব কিভাবে। 

.

গুরুঃ ঐ বই খুললে প্রতিটা পৃষ্টা থেকে ধোঁয়া বের হবে। আর এমন বই  ঐ খানে একটাই আছে।আর তুই কাল থেকেই রওনা দিবি।তোর সামনে অনেক বিপদ। কখনও ভয় পাবি না হার মানবি না। খুব বেশি বিপদে পরলে আময় স্বরন করবি।আমি সাহায্য করবে। ( কথা বলা শেষ এ গুরু একটু হাসলো।) 

.

আমি ঃ আচ্ছা গুরু আপনি হাসলেন কেন❓

.

গুরু ঃ যখন তুই ফিরে আসবি এই হাসির কারন তুই নিজেই বুঝতে পারবি। আর তখন তুই খুব বেশি খুশি থাকবি।

.

আমি ঃ পরের দিন আমি রওনা দিলাম আমার প্রথম অভিজানে। দিন শেষে রাত হলো। আমি এখন একটা গ্রাম এ আছি। আজকের রাতটা মনে হচ্ছে এখানেই থাকতে হবে।দেখি কোন বাসায় থাকা জায়।ঐ তো  সামনে একটা বাসা দেখা। বাসার সামনে আসতেই কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম। কান্নার আওয়াজ আসছে ভেতর থেকে। আমি কোন কিছু না ভেবেই সোজা সেই বাসাতে ঢুকে পড়লাম । ( হয়তো কেউ বিপদে পরেছে। এমনটা মনে করেই বাসাটায় ঢুকলাম।) 

ভিতরে ঢুকে দেখি একটা ছেলে মাটিতে শুয়ে আছে ( মনে হচ্ছে  ঙ্গান আছে)  আর তাকে ঘিরে বাড়ির সবাই কান্নাকাটি করছে। ব্যাপারটা জানার জন্য একজনকে জিগ্যেস করলাম।

.

আমি ঃএখানে কি হয়েছে ❓

.

এক মহিলা ঃ আমার ছেলেটা বাজারে গিয়েছিল ফিরতে রাত হয়েছিল আর ঐ গাছে,,,,,,,,,,,,,,

.

আমি ঃ কিন্তু ছেলেটা তো এখনো বেচে আছে 

.

একজন ঃ হ্যা বেচে আছে কিন্তু বেশিক্ষণ থাকবে না।কারন এর আগেও অনেক এর সাথে এমন হয়েছে কোন ডাক্তার কবিরাজ দিয়ে কাজ হয়নি।যে ঐগাছের ভুতটাকে দেখেছে সেই মরে গেছে।(কান্না করতে করতে)

.

আমি ঃ কিন্তু এবার এমনটা হবে না।ছেলেটাও বাচবে আর ঐ ভূতেরও আজকেই শেষ দিন।

.

ঐ ব্যাক্তিঃ কিছুই  হবে না।অনেক তান্ত্রিক, কবিরাজ অই ভুতকে তারাতে পারে নাই। 

.

আমি ঃ তারানোর কি দরকার। ওর কাহিনী এখানেই শেষ করে দিলেই তো হয়।

.

নাহ যে করেই হোক ছেলেটাকে বাঁচাতে হবে।আমি পরিকে স্বরন করলাম। সাথে সাথেই পরি হাজির। আমি পরিকে বললাম ওকে ঠিক করতে। পরি কি জেন একটা দ্রব্য থেকে একটা অশুধ বের করে তার সাথে কিছু একটা মিশিয়ে ছেলেটার মাথায় রাখলো। 

.

পরী ঃ ৭ মিনিট পর এর  ঙ্গান ফিরবে।

.

(অবশ্য পরিকে কেউ দেখতে পারছে না। এটা আমার ইচ্ছা।) 

.

এরপর আমি চললাম সেই গাছের দিকে যেখানে রয়েছে সেই ভুত।(আজকে তোর খেল খতম।অনেক মানুষকে  মেরেছিস। আজকে তোর খুবি ভয়ংকর মৃত্যু হবে,,,,মনে মনে)

.

আমি ঃ এইতো সেই গাছ,,,,,,,,,,,,,,

.

.

.

Part --1

.

to be continue__________________________

.

.

.

.

[বিঃদ্রঃ গল্পে উল্লেখ করা মন্ত্র নিজেরা পাঠ করবেন না, বিশেষ করে একাকী অন্ধকার রাতে। আর নিযে কখনও ট্রাইও করবেন না। যদিও আকাশ পরির সাথে বন্ধুত্য করার সম্পুর্ণ নিয়ম উল্লেখ করা হয়নি।।।কোন অঘটন ঘটলে আমি দায়ি না।]

.

আমি দেখতে চাই কে আমার লেখা গল্প পড়ে,,,,,

আর আমার লেখা গল্প কারকার ভালো লাগে,,,, 

.

কমেন্ট প্লিজ 


.


No comments