জোর_করে_ভালোবাসা২
#জোর_করে_ভালোবাসা২
#লিহা_এলোর
#২৪
.
.
.
ঘরে ঢুকতেই আবির এক টান দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে। আর ঠোঁটে ঠোঁট দিয়ে কিস করতে থাকে উন্মাদের মতো। আমি তো পুরাই বলদ হয়ে গেলাম যে কি হলো!
.
আর এই দিকে আবির কিস করতেই থাকে অনেক ক্ষন পর ছেড়ে দিয়ে গলায় দিকে অগ্রসর হতে থাকে কিস গোলো খুব গভির ভাবে দেয় যার কারণে আমিও আর নিজেকে ধরে রাখতে পারি নি উনার সাথে তাল মিলাতে থাকি। বেশ কিছু ক্ষন পর ছেড়ে দিয়ে কোলে নিয়ে বিছনায় যাই। বাকি টুকু ইতিহাস বইয়ে পেয়ে যাবেন🥸।
.
.
.
সকালে...
.
.
.
আবিরের বুকে শুয়ে আছি। অনেক সুরক্ষিত একটা স্থান। যেখানে নেই কোনো ভয় নেই কোনো দুঃখ আছে শুধু শান্তি আর ভালোবাসা।
.
আবির: এই জান অনেক বেলা হলো তো কতো ঘুমাও! উঠো! চাঁচা রা আছে তো রান্না করতে হবে না।
.
আমি: এ কথা শুনতেই ধরপরিয়ে উঠে পরি। এতো ক্ষন তো আবেগে টইটুমবুর ছিলাম এখন বাস্তবে ফিরি। হ্যাঁ! ঠিক তো!
.
আবির: এখন উঠো! আমার ও কাজে যেতে হবে।
.
আমি: যাবেন না!🥸
.
আবির: যেতে তো হবেই এটা তো আর চাচার ধান্দা এর মতো না। তাই যেতে তো হবেই!
.
আমি: নাহ! আপনি ছাড়া ভালো লাগে না।
.
আবির: আমার কি ভালো লাগে বল!
.
আমি: উনাকে জরিয়ে ধরে আদুরে গলায় বলি
"আপনি ছাড়া যে কিছু লাগে না ভালো!
সবই যেনো লাগে কালো কালো।"
.
আবির: 'থ'! এমন ছন্দ শুনে! কি হলো অনেক রোমান্টিক মুডে আছো দেখি! কালকের ডোজ কি এখনো যায় নি।
.
পাশ দিয়েই মাসুম যেতে লাগলো ওদের কথা শুনে দাড়িয়ে যাই। আর সব শুনতে থাকে।
.
আমি:ইশশ! কি যে বলেন নাহ! আপনি যে কেমন!
.
আবির: আমি এমনই! র্নিলজ্জ!
.
আমি: আচ্ছা! দেখি এখন ছাড়ুন!
.
আবির: আগে দাও একটা!
.
আমি: এই বাঁশি মুখে?
.
আবির: হুম! তো কি গালেই দাও ফ্রেশ হয়ে না হয় লিপে দিও!
.
আমি: একটা কিস দিলাম!
.
তার তখনই মাসুম রেগে মেগে ওই খান থেকে চলে যায়।
.
.
.
তারপর ফ্রেস হয়ে রান্না ঘরে গেলাম রান্না করতে আমি আর আবির মিলেই রান্না করি। আবির তো আবির ই আমাকে জ্বালিয়ে মারে সারা দিন। আর রান্না করার সময়ও এসে ফু দেয় পেটে স্লাইড করে। চুল খুলে দেয় নানান ধরনের ফাজলামো! রাগতেও পারি না এমন একটা লুক করে রাগি ফেস নিয়ে তাকালে নিমেষেই সব রাগ পানি হয়ে যায়।
.
আর মাসুম দেখে শুধু ফুলছে কারন ওর মটেও ভালো লাগছে না এমন।আর সহ্য করতে পারছে না আবির কে লিহার সাথে।
.
.
.
তারপর সবাই মিলে খেয়ে নেই। যদিও আবির লিহা কে খায়িয়ে দিচ্ছিল। লিহার লজ্জা লাগলেও কিছু বলতে পারছে না শুধু আবির কে চোখ রাঙাচ্ছে কিন্তু আবির ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে খায়িয়ে দিচ্ছে।
.
.
.
এর পর আবির একটা কিস করে বেরিয়ে যায়। আর আমার আবার সেই একা থাকতে হয় যদিও চাঁচা র সাথে দু একটা কথা হয়েছে। কিন্তু মাসুমের কাছ থেকে দূরে ই থেকেছি। এমন না যে কথা হয় নি হয়েছে তেমন না।আর তারা বেরাতে এসেছে যদি কথার উওর না দেয় কেমন দেখায় না তাই বলতে হয় ভদ্রতার খাতিরে।
.
.
.
সন্ধ্যায় গোসল করে বেরিয়েছি শাড়িটা ভালো ভাবে পরা হয় নি তাই খুলে ঠিক করতে ছিলাম। এমন সময় মাসুম রুমে ঢুকে পরে। আমি তারা তারি করে শাড়ি পেছিয়ে উল্টো দিকে ঘুরে যাই।
.
আর মাসুম লিহাকে খুব গভির ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। মেদহীন পেট যদিও প্রথমে ঢুকার সয়ম একটু দেখেছে তবুই যেন তার চোখে ঐ মেদহীন পেটে ই তার চোখ পরে রয়েছে চিকন পিঠ তার উপর থেকে বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে কেমন এক ঘোরের মধ্যে চলে যাচ্ছে ও। মনে হয় এখনি নিজের করে নিতে।
.
আমি: কিছু বলবেন!
.
মাসুম: আসলে চাঁচা ডেকে ছিল। আমার এভবে এখনে আসা ঠিক হয় নি আর আসলেও নক করে আসতে হতো। সত্যি আমি দুঃখিত!
.
আমি: পরবর্তী তে খেয়াল রাখবেন আর এমন ভুল যেন না হয়।
.
মাসুম: হুম! দুঃখিত এমন আচরণের জন্য! মুখে তো বললো কিন্তু মনে যে অন্য কিছু ই চলছে। ইশশ! কবে যে নিজের করে পাব! কিন্তু এর আগে আবির কে সরাতে হবে। এর জন্য আবিরের জন্য ওর মনে ঘৃনা তৈরি করতে হবে। হ্যাঁ কাল থেকে ওদের সংসারে আগুন লাগানো মিশন শুরু। তা না হলে যে তোমাকে পাওয়া হবে না বেইবি। বেইবি রেডি থাকো কাল কের ধামাকার জন্য । এসব ভেবে বাকা হেসে চলে যায়।
.
আমি: এই লোক টা একটু ও সুবিধার মনে হচ্ছে না। আবির কে বলতে হবে। তারপর শাড়ি ঠিক করে নিচে এলাম।
.
চাঁচা: কই ছিলে মা।
.
আমি: এই তো গোসল দিচ্ছিলাম। আপনারা বসুন আমি চাঁ করে নিয়ে আসছি।
.
চাঁচা: আরে লাগবে না।
.
আমি: বেশি ক্ষন লাগবে না আপনারা বসুন।
.
.
.
তারপর চা করে নিয়ে এলাম। তারপর বসে বসে গল্প করলাম আর চা খেলাম।
.
.
.
মাসুম: তো আপনার ব্যপারে তো কিছুই জানা হলো না।
.
আমি: আমার ব্যপারে আর কি জানার আছে। একটাই তো পরিচয় যে আমি আবিরের স্ত্রী।
.
মাসুম: এই কথা শুনে সাথে সাথে ওর চোখ মুখ শক্ত হয়ে গেল রাগে। নিজেকে কোন মতো শান্ত রেখে । মানে আপনার ব্যপারে। আপনার বাসায় কে কে আছে? আর আপনার পছন্দ অপছন্দ।
.
আমি: যদিও ইচ্ছে ছিল না বলতে তবুও বলতে হয়েছে ঐ যে ভদ্রতার খাতিরে! বাসায় মা বাবা আর আমিই এক মাএ মেয়ে তাদের। ভালো লাগে প্রকৃতি। ভালঝ লাগে না অন্যায়কারীদের ।
.
মাসুম: তার মানে তুমি বেশ শান্ত আর চুপচাপ স্বভাবের। যদিও প্রথমে দেখেই বুঝে ছিলাম।
.
আমি: হুম!
.
মাসুম: আর আমিও বাবার এক মাত্র সন্তান। আর ভালো লাগে ট্রেবেলিং! আরো অনেক কিছুই ভালো লাগে। ভালো লাগে না এইটা বলা যাবে না।
.
আমি: হুম! বিরক্ত লাগছে! কখন আবির আসবে সেটা ভাবছি একা একা ভালো লাগছে না। আর এই মাসুম টাকে তো নাই। আজ আসুক তার পর সব বলবো এর ব্যপারে।
.
মাসুম: কি ভাবছেন!
.
পিছন থেকে আওয়াজ এলো "আমাকে নিয়ে ভাবছে!"
.
আমি: পিছনে তাকিয়ে দেখি আবির আর ওমনি সব বিরক্তি সব গায়েব। তারা তারি উনার থেকে ব্লেজার টা নিয়ে উপরে এলাম সাথে উনিও এলেন।
.
আবির: কি রাগ হয়েছে আমার উপর।
.
আমি: একটু ! আচ্ছা আগে ফ্রেশ হয়ে আসুন আমি খাবার দিচ্ছি আজ তো অনেক লেইট করে এলেন।
.
আবির: হ্যাঁ গো অনেক কাজ ছিল। কি করব বলো একটু তো ম্যানেজ করতেই হবে তাই না।
.
আমি: আচ্ছা! আমার বাবার কম্পানি তেই তো ঢুকতে পারেন। আর উনি না থাকলে তো আপনাকেই সামলাতে হবে।
.
আবির: আমি কেন? তুমি সমলাবে। আর আমি একটা নিজের পরিচয় করতে চাই যেন আমাদের সন্তান আমাদের নিয়ে গর্ব করতে পারে। এই জব করবো কিছু দিন তারপর নিজেই কম্পানি দিব। কিছু টাকা কম আছে তাই এই জবটা নেওয়া।
.
আমি: উনার কথায় কি বলবো বুঝতে পারছি না। যত দেখি তত আবাক হই।
.
আবির: আচ্ছা! আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
.
রাতে খাবার শেষে গিয়ে সব থালা বাটি ধুচ্ছি আমি আর আবির। আর হঠাৎ ই চোখে ঘোলাটে দেখছি আর হঠাৎ ই সব অন্ধকার।
.
আবির: এমন দেখে তারা তারি ধরে ফেলে আবির। আর লিহা বলে চিৎকার দেয়।
.
মাসুম কি লিহাকে কিছু করে ফেলেছে নাকি? এই বেটার সাথে বিশ্বাস নেয় অন্যের বউয়ের উপর নজর দেয় লজ্জা নাই।
.
.
.
চলবে....✌️
~ধন্যবাদ~🌺
Post a Comment