🙇🙏#বৈধ_ধর্ষণ🙏 🙇

 🙇🙏#বৈধ_ধর্ষণ🙏 🙇

#লেখক_নীলার_আব্বু


👉part-6 & 7


#স্নিগ্ধার_পয়েন্ট_অফ_ভিউ


বিছানায় উপুত হয়ে শুয়ে, বালিশে মুখ চেপে কান্না করতে থাকলাম।


এখন আমার কি হবে?আমি কোথায় যাবো?

ওই নরকে যাওয়ার থেকে মরে যাওয়া অনেক ভালো।


নিজের মাথায় কারো স্পর্শ অনুভব করলাম।

তাকিয়ে দেখি খালা(বুয়া)।


খালা:কি হইসে মা এমনে কান্তাসো কেন?

বাড়ির কথা মনে পরসে?


আমি:আমার কোনো বাড়ি নেই খালা, আমার কেউ নেই।😭😭


খালাকে সব খুলে বললাম,,


আমি:আপনেই বলেন খালা এখন আমি কি করব।


খালা:আসোলে কেমনে যে কই? তোমরা তো শিখিত মাইয়া, তুমি করবা কি না?


স্নিগ্ধা:কি খালা?


খালা:আমি যে বাড়িতে ছুটা কাম করি, সে মেডামের মা তার অন্তাসত্তা ভাইয়ের বউ এর কাছে গেছে,সে বাচ্চা নিয়া একা থাকে তাই তার কাজে জাইতেও অনেক সমস্যা হয় আর জামাই বিদেশ, তাই আমারে কইসিলো একটা মেয়ে ঠিক কইরা দিয়ে, বাচ্চা রাখার লেগা।


স্নিগ্ধা অনেক খন চুপ করে থেকে,,,

-আমাকে তার সাথে কথা বলিয়ে দিবা খালা,আমি পারবো।


.........................


-মহিলার সাথে কথা বলে বুঝলা সে অনেক ভালো মানুষ,তার থেকে ওই বেবিটা(ছেলে) এতো সুইট। মাত্র ৮মাস। আমার বেবিটা থাকলে মনে হয় এই রকম থাকতো।।।😞😞😞


আজ প্রায় ৪ মাস আমি এইখানে।

আমার কাজ শুধু উনি কাজে থাকার সময় বেবি টার দেখা শুনা করা।

থাকা খাওয়া সব এইখানে।

উনি আমাকে আপু বলতে বলেছে, উনি একজন ডাক্তার,খুব ভালো লাগে উনাকে দেখতে।

আর নিজেকে আয়নায় দেখতে অনেক ঘৃনা লাগে,নিল কি ঠিক বলেছিলো আমি মূর্খ, আমি আরস্মার্ট।


এই সব চিন্তা করতে করতে হাউমাউ করে কান্না করে দিলাম,,এতো দিন করিনি, আসলে চোখ দিয়ে পানি বের হয়নি, মনে হয় চোখের পানিও আমাকে সংগ দিতে দিতে ক্লান্ত। কিন্তু আজকে কোথার থেকে যে এতো পানি আসছে।

আমার কান্নার শব্দ শুনে আপু আমার রুমে চলে আসলো।


আপু:কি হয়েছে স্নিগ্ধা এই ভাবে কান্না করছ কেনো?


স্নিগ্ধা:কিছু না আপু এমনি।


আপু:আছা তুমি এতো কি ভাবো?

আর সারা খন এমন চুপ চুপ থাকো কেনো?


স্নিগ্ধা:..........(চুপ)


আপু:আমি তোমার বড় বোনের মতো। আমাকে বলা যায় না?


স্নিগ্ধা:............(চুপ)


আপু:আচ্ছা বাবা থাক বলতে হবে না,আসো আমার রুমে এসে ঘুমাবা।


স্নিগ্ধা আর কোনো কথা না বারিয়ে তার সাথে চলে গেলো।।


আপু হসপিটালে, বেবি গুমাছে, তাই আমি বেবির পাশে বসে পেপার পড়ছি।

আজকে পেপাতে অনেক কলেজের ভর্তির খবর এসেছে।।

আচ্ছা আপু সাথে কথা বলি যে

আমি কলেজে ভর্তি হবো।

উনি কি মানবে?

থাক আগে কথা বলে দেখি।


রাতে খাওয়ার টেবিলে,


স্নিগ্ধা:আপু একটা কথা বলি?


আপু:আমারো তোমার সাথে একটা কথা আচ্ছে।


স্নিগ্ধা :আপু আপনি আগে বলেন।


আপু:তুমিতো জানো তোমার ভাইয়া ইউএসএ তে থাকে, উনি যাওয়ার পর আমার আর বাবুর জন্য এপ্লাই করেছিলো,

আমাদেরটা হয়ে গিয়েছে। আর বরঞ্চ ১ বছরের মধ্যে আমরা চলে যাবো।।


স্নিগ্ধা:কংরেচুলেশন আপু।


আপু:যানো স্নিগ্ধা আমার তাকে(হাবি) ছাড়া দম বন্ধ হয়ে আসছিলো।

এখন তার কাছে যেতে পারবো শুনে অনেক শান্তি লাগছে।


স্নিগ্ধা:স্বামি স্ত্রীর সম্পর্ক টা মনে হয় এমনি হয়,আমার পোরা কপাল।(মনে মনে)

আল্লাহ আপনাদেরকে ভালো রাখুল।


আপু:Thank you বোন।

তুমি কি যানি বলবা?


স্নিগ্ধা:আপু ২বছর গ্যপ দিলে কি কলেজে ভর্তি নেয়?


আপু:হ্যা নেয়।

কে কলেজে ভর্তি হবে?


স্নিগ্ধা:আপু আপনি যদি পারমিশন দেন তাহলে, আমি হতাম।


আপু:তোমার এসএসসির রেজাল্ট কি ছিলো?(সাভাবিক কণ্ঠে)


আমি: A+,


আপু:খাওয়া শেষ করে আমার রুমে আসো।


স্নিগ্ধা ভয়ে ভয়ে তার রুমে গেলো,

গিয়ে দেখে তিনি খাটে বসে কি জানি ভাবছে।


আমি তার কাছে জাওয়া মাত্র তিনি বলে উঠলেন,


আপু:জানো স্নিগ্ধা পৃথিবীতে কিছু মানুষ থাকে যাদের সাথে রক্ততের সম্পর্ক না থাকলে তাদের অনেক আপন লাগে,, যেমন আমার কাছে তুমি,কিন্তু আপ্সোস আমি তোমার কাছে সে আপন জন হতে পারলাম না।


তোমার কি মনে হয় আমি কারো সম্পর্ক না যেনে নিজের মূল্যবান জিনিশটা তার কাছে রেখে যাবো?

আমি তোমার ব্যপারে খালার থেকে সব শুনেছি।

কিন্তু আমি তোমার মুখ থেকে শুনতে চেয়েছিলাম।

আচ্ছা স্নিগ্ধা এতো ধর্য্য কথায় রাখো?

আমি মনে হয় তোমার যায়গায় থাকলে নিজেকে শেষ করে দিতাম।

(((আমার টাইমলাইনে একদিন আগে গল্প দেয়া হয়, যারা গল্প পরতে চান আমার আইডি থেকে পড়তে পারেন।)))ধন্যবাদ 

আমি তোমাকে কলেজে ভর্তি হওয়ার পারমিশন দিবো।কিন্তু তোমার আমাকে একটা প্রমিস করতে হবে।


স্নিগ্ধা:কি আপু?


আপু:তোমাকে আমাদের সমাজের মেয়েদের জন্য Ideal হতে হবে। নিজের পায়ে নিজেকে দাড়াতে হবে।।


আমি:আমি হবো আপু,কিন্তু একটা কাজ অপূর্ন রয়ে যাবে।

তা হলো নিলকে শাস্তি দেওয়া।


আপু আমার হাত ধরে নিজের সামনে বসালো,


আপু :ছোট বেলায় আম্মু একটা কথা বলতো, কি জানো?

সবাই সবার পাপের শাস্তি এই দুনিয়াতে পেয়ে যাবে।

তাহলে বলো তুমি কি ওকে শুধু মাত্র কিছু সময়ে জন্য শাস্তি দিতে চাও নাকি ওকে নিজের মধ্যে তিলে তিলে শাস্তি দিবা?

অনুতাপ এর মাধ্যমে।


এখন যাও শুয়ে পরো, কালকে আমি তোমাকে নিয়ে কলেজের ভর্তি রেজিস্টারি করতে বের হবো।


স্নিগ্ধা:গেটের সামনে এসে আবার আপুর কাছে গিয়ে তাকে জরিয়ে ধরলাম।


আপু:এখন কান্না করার দিন শেষ বোন।

বলে আর পিঠ হাতিয়ে দিতে থাকলো।


এখন আমার রুটিন হচ্ছে সকালে কলেজে যাওয়া, তারপর হস্পিটালে গিয়ে আপুর কাছ থেকে বেবি কে নিয়ে বাসায় আসা।

আমার নতুন কলেজ টা পুরাতন কলেজের থেকে অনেক বেশি ভালো।


আম:আপু একটা কথা জিজ্ঞেসা করি?


আপু:হ্যা কর?


আমি:আপনি আমাকে এতো হেল্প করছেন কেনো?


আপু:প্রশ্ন টা তোলা থাক অন্য একদিন উত্তর দিবো।


দেখতে দেখতে ফাস্ট ইয়ার শেষ হয়ে সেকেন্ড ইয়ারে এডমিশন নিয়েছি।

এর মাঝে ভাবির কাছ থেকে শুনলাম নিলের কেস এর কাজ শেষ হয়ার পরে নাকি পিয়াকে বিয়ে করেছে।


যাইহক আপুও আর বেবিও ইউএসসে চলে গিয়েছে।।


যাওয়ার আগে আমাকে তার হস্পিটালে একটা রিসিপশ্নিস্ট এর কাজ দিয়ে গিয়েছে।।


সময় টা কেনই জানি অনেক দূত্র চলতে থাকলো।


আজ আমার এইচএসসি পরিক্ষা শেষ হলো,,

সবাই জিজ্ঞেসা করছে কোন ভার্সিটি ভর্তি কোচিং এ ভর্তি হবো,,,তাদের কে কি করে বুঝাই যে আমার হাত একদম খালি।।ভার্সিটি কোচিং কি ভাবে ভর্তি হবো?

আপু টাকা পাঠাতে চেয়েছিলো, আমি নেইনি।

আর কতো?


বাজারে গিয়েছিলাম,,পিছন থেকে...... 😱😱


To be continue

.

.

.

.

🙇🙏#বৈধ_ধর্ষণ🙏 🙇

,

,

#নীলার_আব্বু

👇

👇


👉part-7👈

,


কে জানি স্নিগ্ধাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।


স্নিগ্ধা:মামি।


মামি:তোর মামারা তোকে পাগলের মতো খুজেছে মা।তুই এতো দিন কথায় ছিলি?

বাসায় চল।


স্নিগ্ধা:আম্মু কেমন আছে?


মামি:কোনো রকম বেছে আচ্ছে।

বাকি কথা পরে হবে এখন বাসায় চল।


স্নিগ্ধা:অন্য একদিন যাবো মামি,আজনা।


মামি:আমি তোর কোনো কথা শুনছি না।

চল।


মামি এক প্রকার জোর করে স্নিগ্ধাকে তার বাসায় নিয়ে গিয়েছে,

মামাতো স্নিগ্ধাকে দেখে চোখের পানি ছলছল করছে।

(((আমার টাইমলাইনে একদিন আগে গল্প দেয়া হয়, যারা গল্প পরতে চান আমার আইডি থেকে পড়তে পারেন।)))ধন্যবাদ 

মামা-মামি স্নিগ্ধাকে নিজের মেয়ের মতো দেখে, এমনকি সবাই কে বলে তাদের ১ ছেলে,১ মেয়ে(স্নিগ্ধা)..

স্নিগ্ধার মামাতো ভাইটাও ওকে একদম নিজের আপন ছোট বোনের মতো দেখে,,,

সে এখন পড়াশুনার করার জন্য দেশের বাইরে থাকে।

নয়তো নিলের বাবা-মা ছেলের লাশ ও পেতো না।


আম্মু স্নিগ্ধার খবর শুনে সারাহ কে নিয়ে মামা বাড়ি আসছে।


এই কয়ের দিনে কি হয়েছে সব মামা-মামি কে না চাওয়ার সর্তেও বলতে হয়েছে..


মামা:আমার পিচ্ছি স্নিগ্ধাটা কতো বড় হয়ে গিয়েছে।


স্নিগ্ধা:সময় সব শিখিয়ে দেয় মামা।


মামা:রোদের আম্মু দেখ আমার মেয়ে কি খাবে, তা রান্না কর।


স্নিগ্ধা:না মামা কিছু খাবনা,আজ আসি।


মামা:তুমি কোথাও যাচ্ছো না,এখন থেকে আমার কাছে থাকবা।

এমনি আমি তোমার উপরে অনেক রাগ,সেদিন বাবার সাথে রাগ করে বের হয়েছ ভালো কথা কিন্তু আমার বাসায় না এসোনি কেনো?


স্নিগ্ধা:কারন আমি আর কারো কাছে বোঝা হতে চাইনা মামা।


মামা:মেয়েরা কি বাবার কাছে বোঝা?

মেয়েরা তো বাবার ঘরের লক্ষী।


এর মধ্যে আম্মু এসে স্নিগ্ধাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না করে দেয়।।

আর স্নিগ্ধাকে তার মামার কাছে থাকার জন্য আনেক রিকুয়েস্ট করে,,

শেষ পর্যন্ত স্নিগ্ধাও রাজি হয়ে যায়।


স্নিগ্ধা পাব্লিক মেডিকেল পরিক্ষার সাথে সাথে পাব্লিক ইউনিভার্সিটি গুলাতেও পরিক্ষা দেয়।।

সব পরিক্ষা দিতে মামা অথবা মামি ওর সাথে যায়।

মামা-মামির সাপোর্ট ছাড়া স্নিগ্ধার পক্ষে একা এইগুলো সম্ভব হতো না।


স্নিগ্ধা ঢাকা মেডিকেলে চান্স পায় না,😞

কিন্তু রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়ে যায়।


মামা ওকে ঢাকার কোনো প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তি করতে চেয়েছিলো,কিন্তু না স্নিগ্ধা পাব্লিক থেকেই পড়বে।

তাই রাজশাহী চলে যায়।।


শুরু হয় স্নিগ্ধার নতুন জীবন।

স্নিগ্ধার মনে একটাই স্বপ্ন, ওকে জীবনে অনেক ভালো পর্যায় যেতে হবে,যাতে সবাই ওর নামে অকে ছিনে। ওমুকের মেয়ে,ওমুকের বউ বলে না সম্মধন করে।


দেখতে দেখতে আজ স্নিগ্ধার ২বর্ষে পরিক্ষা শেষ আর মাত্র ৩ বছর।


স্টুডেন্ট পড়িয়ে স্নিগ্ধা এখন মাসে ২৫-৩০ হাজার টাকা আয় করে,প্রতি মাসে মার হাত খরচ ও পাঠায়।


নিজের টাকা দিয়েই পড়াশুনা করে।এখন আর টাকার জন্য হিমসিম খেতে হয় না,

বরং অনেক গরিব মেয়েদেরকে ফ্রম্পূর্ন করতে টাকাদেয়,পড়াশুনা করার জন্য উৎসাহ দেয়।

এমন কি নানা রকম এনজিও তেও কাজ করে।


আর ইদানিং ওর সবার থেকে পছন্দের কাজ, তাহলো পথশিশুদের পড়ানো।পথশিশুদের মুখের হাসি ওকে ওনেক শান্তি দেয়।।।


এর মাঝে অনেক বার ঢাকায় মামা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে।।

মামাতো ওর জন্য একটা রুম ডেকুরেট করেছে।।

যা দেখে স্নিগ্ধা হাসবে না কি করবে তা ভেবে পায় নি,,কারন রুম টা দেখে মনে হচ্ছিলো কোনো পাচঁ বছরের বাচ্চার রুম।

তারপর নিজের ইচ্ছা মতো সাজিয়েছে।।


গায়ে এপ্রন,চোখে চশমা,ঠোঁটের কিনারে মিষ্টি হাসি, আর ওর মায়াবি চেহারা তো আছেই,,

মাথার চুল গুলাও পিঠ বেয়ে কমড়ে নেমেছে,,তাও আবার লেয়ার কাটা।

এখন তার মধ্যে ডাক্তার ডাক্তার ভাব আসা সবে শুরু হয়েছে।

এক কথায় অসাধারন।

কেউ বলবে এই মেয়ে এক সময় ডমিস্টিক ভায়লেনের শিকার হয়েছিল। তার জীবনে কষ্ট আর কষ্ট ছিল।

না কেউ বলবে না। সময়ে সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাচ্ছে।।


হোস্টেলে যাওয়া মাত্র স্নিগ্ধার ফোনে মামার কল,,


মামা:.................


স্নিগ্ধা:কি??😱😱

আমি এখোনি ঢাকায় আসার জন্য রওনা দিচ্ছি।


স্নিগ্ধা মামার বাসায় গিয়ে দেখে দরজা খোলা।

ভিতরে গয়ে দেখে একটা ছেলে জানালার পাশে ফিরে ফোনে কথা বলছে।


স্নিগ্ধা গিয়ে ছেলেটাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে,,


স্নিগ্ধা:রোদ ভাইয়া এতো দিন পরে দেশের কথা মনে পরলো?😒


পিছন থেকে এক আওয়াজ আসলো পুছকি


স্নিগ্ধা পিছনে ফিরে দেখে রোদ ভাইয়া।


তাহলে ও এতোখন কাকে জরিয়ে ধরেছিলো,😱😱😱

ছিঃ ছিঃ


স্নিগ্ধা:আল্লাহ দরি ফেলেন,নয়তো মাটি ফাক করে দেন।

😫😫(মনে মনে)


To be Continue

.

.

.

.

Wait for next part.......


No comments