#অহংকারী মামাতো বোন#

 #অহংকারী মামাতো বোন#

পর্ব : ১৩

@শাকিব হাসান শান্ত@💞


আমি ওখানেই বসে রইলাম। ওরা গিয়ে একটা মেয়েকে সবকিছু বলে আমার কাছে পাঠালো। আর প্ল্যান অনুযায়ি আমাকে ডাকতে লাগলো... সাদিয়ার আমার দিকে চোখ পরতেই উঠে দাড়িয়ে গেলো।

আমি আর চোখে তাকিয়ে দেখি সাদিয়া রাগে টেপা মাছের মতো ফুলছে। আমি আমার মতো হেসে কথা বলছি। সাদিয়া আর সয্য করতে না পেরে সোজা আমাদের কাছে চলে এলো। এসেই,,,,


সাদিয়া : কি হচ্ছে এখানে..?

নিলা : কই কি হচ্ছে.. ( মেয়েটার নাম নিলা)

সাদিয়া : এতো হাসাহাসি করে কি কথা হচ্ছে..?

আমি : সেটাকি আপনাকে বলতে হবে..?

সাদিয়া : হুমম বলতে হবে...ঐ তুই যা এখান থেকে..( নিলা কে বলল)

নিলা : দেখছো না কথা বলছি..?

সাদিয়া : কথা বলা লাগবে না,  যা তুই..?

নিলা : একটু পরে যাচ্ছি তুমি যাও। 

সাদিয়া : না তুই এখনি যা,,,

নিলা : বললাম তো যাচ্ছি। ওনার সাথে কথা বললে সমস্যা কিসের..?


ঠাসস্ করে একটা নিলার গালে বসিয়ে দিল। কেউ ভাবতেও পারিনি যে সাদিয়া ওকে থাপ্পর মারবে।


সাদিয়া : তোকে বলছিনা যেতে..?

নিলা :,,,,, (চুপ),,,,,,


নিলা আর ওখানে দাড়ালো না। চলে গেলো ওখান থেকে। থাকলে হয়তো আরো একটা পরতো। নিলা চলে যাওয়ার পর,,,,,,


সাদিয়া : তোমাকে যেনো আর কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে না দেখি..

আমি : কথা বললে আপনার সমস্যা কিসের..?

সাদিয়া : আমি বলছি তাই। অন্য কারো সাথে কথা বললে আমার,,,,,,,(আর কিছু বলল না)

আমি : কি...? 

সাদিয়া : না কিছু না,,,,,,

আমি : আপনি এরকম করছেন কেনো..? আমিতো আর আপনার পিছনে ঘুরি না, বিরক্ত করিনা এমনকি আপনার সামনেও যাইনা। এখনতো আপনি অনেক শান্তিতে আছেন। তাহলে এরকম করছেন কেনো....?

সাদিয়া : .... (চুপপ).......

আমি : কি হলো..?  চুপ হয়ে গেলেন কেনো..?


সাদিয়া কোনো কথা বলছেনা। মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। এ প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই ওর কাছে। আমি আর ওখানে না দাড়িয়ে চলে আসতে লাগলাম, তখনি পিছন থেকে,,,,,,,


সাদিয়া : আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি.....

আমি : কি..?  কি বললেন..? ( সাদিয়ার দিকে ঘুরে দাড়িয়ে)

সাদিয়া :  এখন আমি তোমার বিরক্তগুলো খুব মিস করি। তোমার শূন্যতা বুঝতে পারি।  তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি, অপমান করেছি। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও।

আমি : আরে আপনি কেনো ক্ষমা চাইছেন..? আপনি তো কোনো ভুল করেন নি। ঠিকই বলেছিলেন। 

সাদিয়া : আমার ভুল আমি বুঝতে পারছি। আমি অনেক বড় অন্যায় করে ফেলেছি,,,,

আমি : সমস্যা নেই,,,,,


এই বলে আমি চলে এলাম ওখান থেকে। আর বেশিক্ষণ থাকলে ওর মায়াবী চেহারার প্রতি দুর্বল হয়ে যেতাম। 

 সাদিয়ার কাছে যেতে চাইলেই ওর বলা কথা গুলো আর যেতে দেয় না। খুব ভালোবেসে ছিলাম আর যার কারনে অনেক কষ্ট, অপমান সবকিছুই সইতে হয়েছে। 

এখন সাদিয়া কে বোঝাবো কষ্ট কি জিনিস। 

ভাবিদের বাসার পিছনে একটা পুকুর আছে। ওখানে চলে এলাম।

একটু পর সাগর ফোন দিল,,,,

আমি : হুমম বল,,,,,

সাগর : কোথায় তুই..?

আমি : বাসার পিছনে পুকুর পাড়ে বসে আছি।

সাগর : থাক আমরা আসছি,,,

আমি : হুমমম,,,,


একটু পর ওরা দুজনি আসলো। আমরা বসে কথা বলছি,,,,,,

আর ঐ দিকে সাদিয়া ওখান থেকে সোজা ভাবির কাছে চলে গেলো,,,,,,,,,

সাদিয়া : আপু তোমার সাথে একটু কথা আছে...

ভাবি : হুমমম বল,,

সাদিয়া : তুমি শাকিব কে চেনো..?

ভাবি : হুমম চিনি,,,। কেনো?

সাদিয়া : তোমার কি হয়..?

ভাবি : কেনো ও কিছু করেছে..?

সাদিয়া : আরে না। আগে বলো তোমার কি হয়..?

ভাবি : ও হচ্ছে আমার একমাত্র দেবর,,,

সাদিয়া : সত্যি...?

ভাবি : হুমমম সত্যি বলছি,,,। তুই ওকে চিনিস..?

সাদিয়া : হুমম খুব ভালো করেই চিনি..

ভাবি : কি ভাবে..?

সাদিয়া : এই সেই ছেলে যাকে ভালোবেসে ফেলেছি...

ভাবি : কিইইই..?

সাদিয়া : হুমম,,

ভাবি : তাহলেতো তোর লাইন ক্লিয়ার...

সাদিয়া : না,,,, ও এখন বদলে গেছে..। আমার সাথে আর আগের মতো কথা বলেনা। আমাকে এরিযে চলে...( সাদিয়ার চোখে পানি টলমল করছে)

ভাবি : চিন্তা করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে...

সাদিয়া : ওর সাথে এখন কথাই বলতে পারিনা.। বিশ্বাস করো আপু আমি ওকে অনেক ভালোবাসি। 


সাদিয়া আর ভাবি কথা বলছে তখনি আমরা ভাবির রুমে ডুকলাম। আমি জানিনা যে সাদিয়া এখানে আছে,,,। আমাকে দেখেই সাদিয়া দাড়িয়ে গেলো...


ভাবি : আরে তুমি,,, আসো আসো

আমি : ভাবি একটা কথা ছিল,,,

ভাবি : হুমম বলো, কিছু লাগবে..?

আমি : একটা রুম হলে ভালো হতো,,,,

ভাবি : ওও আচ্ছা দাড়াও আমি দেখছি,,,,


ভাবি সাঁজুগুজু করে বসে আছে। এখ ভাবি কাকে ডেকে বলবে ভেবে পাচ্ছে না। শেষমেশ সাদিয়াকেই বলল,,,,


ভাবি : সাদিয়া যা তো একটু ওদের রুমটা দেখিয়ে দিয়ে আয়।

সাদিয়া কোনো কথা না বলে আমাদের সাথে চলে আসলো। 

একটা রুম দেখিয়ে দিয়ে বলল,,,

- এটা তোমাদের রুম,,

সাগর : আচ্ছা ঠিক আছে,,,,


সাদিয়া রুমটা দেখিয়ে দিয়ে চলে গেলো। আমরাও রুমে এসে একটু বিশ্রাম নিলাম। আমি শুয়ে আছি। সাগর আর সিজান ও ফ্রেস হয়ে এসে সোফায় বসে আছে।

কিছুক্ষন পর সাদিয়া আমাদের রুমে এসে সাগর আর সিজানকে দুর থেকে ইশারায় হাত জোর করে বাইরে যেতে বলল,,।

ওরা বুঝেগেছে সাদিয়া এখন আমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছে। ওরা কিছু না বলে বাইরে চলে গেলো। সাদিয়া রুমে ঢুকে আমার ডাশে এসে বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি চোখ খুলতেই সাদিয়া চোখে চোখ পরলো,,,, 

আমি একটু ভয় পেলাম। তাকিয়ে দেখি বন্ধুরা কেই নেই,,,,,


আমি : আপপনি এ...........


আর কাছু বলতে দিলো না।  সাদিয়া ওর হাত দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরলো,,,,,,,,,,,,, 


সাদিয়া : চুপপ একটা কথাও বলবে না,,,,

আমি : ( ওর থেকে ছারানোর জন্য একটু নরতেই আরো জোরে চেপে ধরলো)

সাদিয়া : চুপ করে শুয়ে থাকো,,,


আমি মুখটা ছাড়ার জন্য ইশারা করতেই সাদিয়া ছেড়ে দিল,,,,,,


আমি : আপনি এখানে কেনো...?

সাদিয়া : আসতে পারিনা নাকি...?

আমি : আমি সেটা বলিনি। আমার মতো ছোটলোক যেখানে আছে সেখানেতো আপনার আসার কথা না।

সাদিয়া : আমি বলছিতো আমার ভুল হয়েছে। তার পরও কেনো বার বার একই কথা টেনে আনছো..?

আমি : কি করবো বলুন..? আমরা ছোট লোক এই কথা শুনতে শুনতে এতোই অভ্যস্ত হয়েছি যে, সবসময় মাথার ভিতর এটাই ঘুরপাক খায়,,,,,

সাদিয়া : আবার...?

আমি : আচ্ছা বাদ। কেনো এসেছেন এখানে..?

সাদিয়া : তোমাকে দেখতে...

আমি : আমার  আর কি দেখবেন..? শুধু শুধু সময় নষ্ট,,,।  সরুন আমি বাইরে যাবো।

সাদিয়া : তুমি এরকম কেনো করছো...?

আমি : আমি কিছুই করছি না। শুধু আপনি যা বলেছিলেন সেটা মেনে চলার চেষ্টা করছি....

সাদিয়া : কি বলেছিলাম আমি...?

আমি : আপনিতো বললেন আমার মতো ছোট লোক যেনো আপনার সামনে না আসে... তাই আর সামনে যাইনা।


সাদিয়া আর কোনো কথা বলছে না। মাথা নিচুকরে বসে আছে। কিইবা বলবে,,,,,


আমি : সরুন,,,  আমাকে যেতে দিন...

সাদিয়া : এখানেই থাকো, কোথাও যেতে হবে না।

আমি : আমার এখানে ভালো লাগছে না। সরুনতো,,,,,


আমি সাদিয়ার কোনো কথাই না শুনে ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে রুম থেকে বাইরে চলে এলাম। এসে দেখি হারামি দুটো চেয়ারে বসে বসে ময়দা সুন্দরি দের দেখছে,,,,,


আমি : ঐ শাল*রা আমাকে একা রেখে চলে আসলি কেনো..?

সাগর : তুই একা কোথায়..? ওখানেতো ভা,,,,,,,,,( থামিয়ে দিয়ে)

আমি : শেষমেশ তোরাও.....? তোরা তো সবকিছু যানিস আমার আর সাদিয়ার বেপারে। তারপরও তোরা এটা বলছিস...?

সাগর : ওও সরি রে,,। আসলে তখন সাদিয়া আপু আমাদের কাছে হাত জোর করে বাইরে আসতে বলছিলো, তাই আমরা আর ওখানে থাকিনি,,,

আমি : হুমম হয়েছে,,,,.। কি করছিস এখানে বসে..?

সিজান : ঐ দেখ এত্তগুলো ময়দা পরি....

আমি : হুম,,, ময়দা সরিয়ে দেখ ভিতরে এক একটা পেত্নী,,,


এটা বলেই সবাই মিলে অট্টহাসি তে মেতে উঠলাম।  নিচ থেকে নিলা সেটা খেয়াল করে উপরে আমাদের কাছে চলে আসলো,,,,,


নিলা : কি নিয়ে এতো হাসাহাসি হচ্ছে, সেটা কি জানতে পারি...?

আমি : না না তোমাকে বলা যাবে না,। আর  তুমি এখানে...?

নিলা : হুমম আপনাদের হাসাহাসি দেখে চলে এলাম....

আমি : ওওও  

নিলা : হুমমম

আমি : আমরা সবাই দুঃখীত,,,  আমরা ভাবতেও পারিনি সাদিয়া তোমাকে থাপ্পর দিবে..। প্লিজ কিছু মনে করো না,,,

নিলা : আরে এটা কোনো বেপার না। আর এটাই হলো ভালোবাসা....

আমি : কোনটা...?

নিলা : এইযে আমি একটা মেয়ে আপনার সাথে কথা বলছি সেটা দেখে সাদিয়া আপু কত রেগে গেলেন। এটাই ভালোবাসা। কেউ কখনো তার ভালোবাসর ভাগ অন্য কাউকে দিতে চায় না।

আমি : ওও,,,,,। তুমিতো দেখছি অনেক কিছুই জানো,,,,,

নিলা : জানতে হয়,,,,, 

সাগর : তোমার বয়ফ্রেন্ড কয়টা আছে...?

নিলা : এটা আবার কেমন প্রশ্ল..? একটা মেয়ের বয়ফ্রেন্ড কয়টা থাকতে পারে...?

সাগর : এটা গুনে শেষ করা যাবে না.....

নিলা : কিইইই এত্তবড় কথা,,,

সাগর : হুমমম। আর তোমার মতো এতো কিউট একটা মেয়ের তো অনেকগুলো থাকার কথা। ( হাওয়া দেওয়া হচ্ছে হাওয়া)


আমি আর সিজান শুধু ওদের কথা শুনছি। আমাদের আর বুঝতে বাকি রইলো না যে, সাগর নিলাকে পটানোর চেষ্টা করছে। আমি সিজানকে ইশারা করে বললাম কোনো কথা না বলতে,,,


নিলা : তাই নাকি...? 

সাগর : হুমমম,,, কয়টা আছে আপনার,,,

নিলা : একটাও না,,,

সাগর : আমি মানতে পারলাম না,,,,

নিলা : কেনো মানতে পারলেন না...?

সাগর : তোমার মতো এতো সুন্দর মেয়ের বয়ফ্রেন্ড নেই এটা হতে পারে না।

নিলা : না আমি মোটেও সুন্দর না...

সাগর : কি যে বলোনা তুমি... তোমার চোখ সুন্দর, নাক সুন্দর, ঠোট সুন্দর,  কি সুন্দর ফি ফিগা,,,,


এটা বলার সাথেই আমি আর সিজান এক সাথে,,,, এহেম এহেম( হালকা কাশি দিয়ে উঠলাম)

এবার সাগর বুঝতে পারলো যে ও কি বলতে গিয়েছিলো,,, আমাদের দিকে তাকিয়েই মুচকি হেসে দিলো সাগর,,,,


নিলা : পাম দিচ্ছেন...?

সাগর : আরে না,,,,,

নিলা : আমি বুঝতে পারছি যে পাম দিচ্ছেন,,,,

সাগর : তোমাদের মেয়েদের একটা অভ্যাস কি জানো...?

নিলা : কি...?

সাগর : তাদদের নিন্দা করলে যেমন সাপের মতো ফুস করে ওঠে, তেমনি একটু ভালো বা প্রশংসা করলে কথাটা উরিয়ে দিয়ে বলে মিথ্যা বলছি বা পাম দিচ্ছি। আচ্ছা ভালোকে তো ভালোই বলতে হবে তাই না...?

নিলা : বাব্বা মেয়েদের বিষয়ে খুব ভালোই অভিজ্ঞতা আছে দেখি আপনার,,,

সাগর : হুমমম একটু...

নিলা : তো আপনি কয়টা রিলেশন করেন...?

সাগর : একটাও না,,,,

নিলা : কেনো..?

সাগর : তোমার মতো এতো কিউট আর ভালো মেয়ে পাইনি তাই....

নিলা : কি যে বলেননা....( লজ্জায় মাথা নিচু করে রেখেছে)

সাগর : হুমম সত্যি তুমি ওনেক কিউট, যে কোনো ছেলে ক্রাশ খাবে....

নিলা : যান তো......( লজ্জায় মুখ লাল, নীল রং ধারন করছে)


নিলা আর ওখানে দাড়ালো না। সোজা নিচে চলে গেলো,,,,,


সিজান : এ তো পটগেয়া.....

সাগর : পটতেই হবে,,, হাইব্রিট ডোজ দিয়েছি,,  কাজ হততেই হবে....

সিজান : শালা তুই পারিসও বটে....


আমরা আর ওখানে না থেকে ভাইয়ার কাছে চলে এলাম। নিয়ম মাপিক বিয়েটা সম্পন্ন হলো। আমরাও খাবার টেবিলে বসে খেয়ে নিলাম। খাবার বসেও নিলা আর সাগরের ইশারায় কথা হয়েছে। 

খাওয়া শেষে আমরা বাসার বাইরে দাড়িয়ে আছি। একটু পর পিচ্চি একটা মেয়ে এসে আমার হাত ধরে ঝাঁকাচ্ছে...


আমি : কিছু বলবে আপু....?

পিচ্চি : ঐ আপু তোমাকে ডেকেছে ( নিলাকে দেখিয়ে)

আমি : ওও, আচ্ছা তুমি যাও,,,,


পিচ্চি টা চলে গেলো। আমি নিলার দিকে তাকিতেই ইশারা করে বাসার পিছনে পুকুর পারে যেতে বলল। আমাদের এই ইশারা করা সাদিয়া দেখে নিয়েছে,,,

নিলা চলে যাওয়ার পর আমরাও পুকুর পারের দিকে চলে এলাম। নিলা কিছুটা দূরে দাড়িয়ে আছে। আমাদের দেখেই শুধু আমাকে যেতে বলল,, 

সাগর : ভাই যেভাবেই হোক তুই নিলাকে আমার কথা বলবি। আর পারলে ওর ফোন নাম্বার টাও এনেদিস,,,,

আমি : আচ্ছা,,, দেখি ও কি বলে

সাগর : ভাই প্লিজ নিলার সাথে প্রেমটা করিয়ে দে,,,

আমি : আগে ওর সাথে কথিতো বলতে দিবি....

সাগর : আচ্ছা যা,,,,,

 

আমি সাগর আর সিজানকে ওখানে রেখে নিলার কাছে চলে এলাম,,,,,,,


আমি : কিছু বলবে...?

নিলা : হুমম বলার জন্যইতো ডাকলাম,,,।

আমি : কি বলবে...?

নিলা : সত্যি করে একটা কথা বলবেন,, আপনার বন্ধু সাগর কারো সাথে রিলেশন করে কিনা...?

আমি : আরে না ও কারো সাথেই রিলেশন করে না। ও অনেক ভালো একটা ছেলে,,,

নিলা : ওও,,,,

আমি : তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো...

নিলা : হুমম বলেন....

আমি : আসলে সাগর তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছে...

নিলা : ( মাথা নিচু করে) তাতে আমি কি করবো...?

আমি : তুমি কি করবে মানে..? সাগর কে কি তোমার পছন্দ না..?

নিলা : না..( মাথা নিচু করে)

আমি : আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলো,,, তাকাও আমার দিকে....

নিলা : না আমি পারবো না....


আমি বুঝেছি যে নিলাও সাগর কে পছন্দ করে কিন্তু আমার কাছে বলতে লজ্জা পাচ্ছে,,,,

আমিও কমে ছেড়ে দেবো না....


আমি : ওও আচ্ছা তাহলে দেখি সাগর কে আরেকটা মেয়ে খুজতে বলি। ওখানে একটা মেয়ে সাগরের সাথে কথা বলতে চেয়েছিল। মেয়েটাও ভালোই। দেখি ওর সাথে কথা বলে।

নিলা : এই না,,,,,

আমি : কি না..?

নিলা : অন্য মেয়ে খুজতে হবে না....

আমি : কেনো .?

নিলা : তাহলে আমি কোথায় যাবো..?

আমি : তুমি তো বললে সাগরকে তোমার পছন্দ না..

নিলা : কই কখন বললাম...?

আমি : আরে এ মেয়ে বলে কি...?

নিলা : ঠিকি বলছি..।. আচ্ছা এতে কথা বাদ,, যার জন্য ডেকেছি,,,

আমি : কি...?

নিলা : আমিও আপনার বন্ধু সাগরকে পছন্দ করি বাট বলতে লজ্জা লাগছিল,,,। 

আমি : কেনো..? এতে লজ্জার কি আছে...?

নিলা : একটা মেয়ে হয়ে নিজের ভালোবাসার কথা বলতে কার না লজ্জা করে..?

আমি : ওওওও,,, এবার বলো ডেকেছো কেনো..?

নিলা : একটা চিঠি দেবো আপনি আপনার বন্ধুকে দিয়ে দিবেন...

আমি : এটা তুমি  ওকেও দিতে পারতে.....

নিলা : না উনি যদি রাগ করে সেই ভয়ে ওনার কাছে দেইনি...

আমি : ওও আচ্ছা,,, চিঠিটা দাও...

নিলা : আচ্ছা wait.....


নিলা ওর ব্যাগ থেকে একটা চিঠি বের করে আমার হাতে দিলো,,,

- এই ধরুন....

ঠাসসস্ ঠাসসস্

শব্দটা শুনে চমকে উঠলাম। পাশে তাকিয়ে দেখি সাদিয়া.....। ও এখানে কি ভাবে আসলো..? আর নিলাকে মারলোউ বা কেনো...?


সাদিয়া : ঐ কুত্তা তোকে বলছিনা ওর সাথে যেনো তোকে না দেখি..? ছেলে দেখলেই প্রেম করতে ইচ্ছে হয়..? আবার পুকুর পারে এসে চিঠি দেওয়া হচ্ছে,,,,

নিলা : কি বলছো তুমি...?

সাদিয়া : ঠাসসস্ ঠাসসস্,,,,     এখন কিছুই বুঝতে পারছিস না তাইনা..? নষ্টা মেয়ে কোথাকার....


আমি সাদিয়াকে ঘুরিয়েই,,,,,,,,

ঠাসসসস্ ঠাসসসস্

দুইটা লাগিয়ে দিলাম,,,, সাদিয়া মুখে হাত দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে.... আমাদের এসব দেখে সাগর আর সিজানও চলে এলো


আমি : ঐ কি বললি তুই..? ও নষ্টা মেয়ে? তুই কখনোই ভালো হবি না? ও কি এমন করেছে যে ওকে এতো কিছু বললি...?

সাদিয়া : ও তোমাকে চিঠি দিলো কেনো...?

আমি : তেদের এই বড়লোকদের একটাই অভ্যাস কারো সম্পর্কে সঠিক ভাবে না যেনে তাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করা। এটা তোদের পেশা হয়ে গেছে।

সাদিয়া : কি বলছো..?

আমি : ঠিকি বলছি... তুই জানিস এই চিঠি টা কাকে দিয়েছে...?

সাদিয়া : তোমাকে...

আমি : না ভুল... নে এটা পড়ে দেখ( চিঠিটা সাদিয়ার হাতে দিয়ে)


সাদিয়া চিঠিটা পড়ে মাথা নিচু করে দারিয়ে আছে...


আমি : কি হলো কথা বলছিস না কেনো..?

সাদিয়া : সরি আমি বুঝতে পারিনি..

আমি : কি বুঝতে পারিস তুই...। শুধু মানুষ কে কিভাবে অপমান করা যায় সেটাই বুঝিস...

সাদিয়া : প্লিজ আমার অন্যায় হয়েছে.....

আমি : যা তুই,, তোকে দেখতেও আমার ঘৃনা করছে....

সাদিয়া : দয়া করে মাফ করে দাও....

আমি : যা তুই আর আমার সামনেও আসবি না...


এই বলে আমি চলে আসতে যাবো, তখনি সাদিয়া আমন একটা কাজ করলো যা আমি কল্পনাও করতে পারিনি। শুধু আমি একা না কেউই কল্পনা করতে পারেনি.....


--------------------------------------------------------------


চলবে....?


No comments