গল্প- সিনিয়র আপু যখন গালফ্রেন্ড

 গল্প- সিনিয়র আপু যখন গালফ্রেন্ড 


লেখক -  RJ


পর্ব - ৩৩


একটা প্রবলেম আছে তুই তারাতাড়ি আমার সাথে মামার দোকানে দেখা কর। 


আচ্ছা আমি আসতেছি। 


আমি মামার দোকানে যেয়ে বসে আছি। 


মমা একটা রং চা দিনতো একটু কড়া করে। 


আচ্ছা মামা দিতেছি। 


আমি বসে বসে রং চা খাচ্ছি  একটু পরেই সজিব আসলো। 


হুম বল কি এতো প্রবলেম যে রাতের বেলা আমাকে ডেকে আনছিস। 


 মামা আরেকটা চা দাও। 


মামা চা দিয়ে গেলো। 


এবার বল কি হয়েছে রাতের বেলা কেন ডাকছিস। 


আনিকা আপুর সাথে যা কথা কাটাকাটি হয়েছে তা সজিবকে বললাম। 


একটা মেয়ে তোকে এগুলো বলছে তাতেই এতো প্রবলেম। হয়তো মেয়েটা রাগের বসে বলেছে। 


না তুই ভুল ভাবছিস। এই আনিকা আমার মামাতো বোনা তোর মনে নেই প্রাই ৪ বৎসর আগে আপু তার প্রপোজ এস্কেপ না করার কারনে আমার মাথায় ইট মেরে দিছিলো। 


এছারা ও খুবই বেশি রাগি ও যা চায় তাই করে। আমার জন্যে ও সব কিছু করতে পারে। প্রয়োজনে মেঘলার ক্ষতি ওও করতে পারে। 


আচ্ছা বুঝলাম তো এখন আমাকে কি করতে হবে সেটা বল। 


কালকে থেকে আনিকা আপু যে কয় দিন আমাদের এখানে আছে আনিকা আপুর উপর নজর রাখতে হবে।


আর সাতে মেঘলারও যাতে কেউ মেঘলার ক্ষতি না করতে পারে। 


আচ্ছা তুই এটা নিয়ে চিন্তা করিসনা আগামিকাল থেকে সব ব্যবস্থা করে রাখবো। দুজনের উপরই খুন ভালো ভাবে নজর রাখবে। 


আচ্ছা তাহলে তুই ওদোর বলে দিশ। কালকে সকালে আপুর বিয়ের মার্কেট এ জাবে সবাই। তুই ও সকালের দিকে চলে আসিস। 


আচ্চা আসবো। 


ওকে তাহলে আনি বাসায় যাই তুইও বাসায় চলে যা। আাসায় যেয়ে ওদেরকে বলে দিশ জানো ভালোভাবে নজর রাখে। 


আচ্ছা আমি বলে দোব। তাহলে আমি বাসায় চলে যাই। 


আচ্ছা যা। সজিব বাসায় চলে গেলো। আমি মেঘলার জন্যে মামার দোকান থেকে ২ টা আইসক্রিম নিয়ে বাসাচ চলে আসলাম।


আব্বু - কিরে তুই রাতের বেলা বাসার বাইরে কেন গেয়েছিলি। 


মেঘলা আইসক্রিম খেতে চাইছিলো তাই ওর জন্যে আইসক্রিম আনতে গেছিলাম। 


মেঘলাকে ওর আইসক্রিম দিয়ে আমি রুমে চলে আসলাম। এখন একটু চিন্তামুক্ত থাকতে পারবো।


রুমে শুয়ে আছি। একটু পরেই মেঘলা এসে আমার বুকের উপর শুয়ে পরলো। 


বাবু আনিকা আপু তোমার রুম থেকে বেরিয়ে যওয়ার পর থেকেই তোমাকে চিন্তিত লাগছে। কি হয়েছে আমাকে একটু খুলে বলবেনা। 


তোমার কি আমার উপর বিশ্বাস নাই। 


হুম আছেতো আমিতো আমার নিজের থেকেও তোমাকে বেশি বিশ্বাস করি। বলেই জরিয়ে ধরলো। 


তাহলে তুমি কনো চিন্তা করোনা  সুধু একটু সাবধানে থেকো। ( মেঘলারর কপালে একটি কিস দিয়ে বললাম)


মেঘলা- ঠিক আছে এখন নিচে চলো খাবার খেতে। 


আমি আর মেঘলা খাবার খেতে নিচে গেলাম। 


বাসার সবাই খাবার খেতে বসেছে। 


আব্বু - রামিম কালকে সকালে সবাইকে নিয়ে মার্কেট করতে যাবি যার যা লগে সব কালকে দুপুরের মধ্যে কিনে নিয়ে আসবি। 


আর কালকে সকাল তেকে ডোকরেটরের লোকজনকে বাড়ি সাজানোর কাজ করতে বলবি। সন্ধার আগেই জানো সব সাজিয়ে রাখে কালকে রাতে তো হলুদ সন্ধা । 


আচ্ছা আব্বু তুমি চিন্তা করোনা আমি সব কিছু সামলে নিবো। 


আপুর বিয়ের বাকি আর একদিন এর মধ্যে সব কিছু সামলে নওতে হবে। 


খাবার খেয়ে রুমে চলো আসলাম। রুমে এসো শুয়ে আছি। 


আনিকা - আমাকে যা করার কালকের মধ্যেই করতে হবে হবে। এসব ভেবে কাকে জানো ফোন দিলো। 


কালকের মধ্যেই চলে আয় কালকে সবাই মার্কেটে জাবে যা করার ওখান থেকেই করতে হবে। 


আচ্ছা আমরা আজ রাতের মধ্যেই চলে আসবো। তুই কনো চিনন্তা করিশনা। আর আমাদের টাকা। 


কাজ ঠিক ভাবে করতে পারলেই সব টাকা দিয়ে দিবো। 


আচ্ছা ঠিক আছে আমরা চলে আসবো। 


আচ্ছা তাহলে আমি রাখি তোরা রাতের মধ্যেই চলে আসস। আনিকা ফোন কেটে দিলো। 


আনিকা- কালকে মার্কেট থেকেই যা করার করতে হবে। 


কালকেই মেঘলার একটা ব্যবস্থা করতে পারলেই রামিমের লাইফে আমি জেতে পারবো। 


এসব ভেবে আনিকা মনে মনে হাসতেছে। 


মেঘলা - আমার বাবুটা কি করে গো। 


এইতো শুয়ে আছি ঘুমাবো কাল সকালে অনেক কাজ আছে তাই একতু তারাতাড়ি ঘুমতে হবে। 


আচ্ছা আজকি আমি তোমার সাথে ঘুমাতে পারি। 


তোমাকে আপুর রুমে পাঠিয়েই বা কি লাভ।ঘুম থোকে উঠোতো তো সেই আমার রুমেই দেখতে পাবো। 


হুম তোমাকে ছারা কনোভাবেই ঘুম আসেনা।


আচ্ছা তুমি যেয় বিসনায় শুয়ে পরো। 


আমি দরজা লাগিয়ে দিয়ে আট লাইট বন্ধকরে ড্রিম লাইট জালিয়ে দিয়ে বিসনায় শুয়ে পরলাম। 


আমি বিসনায় শুয়ে পরতেি মেঘলা আমার বুকের উপর মাথা দিয়ে আমাকে জরিয়ে দিয়ে শুয়ে পরলো 


আমি মেঘলার কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে মেঘলাকে বুকে নিয়ে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেলাম। 


চলবে,,,,


No comments